অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় - Wikiguide IT

মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের একটি অবিছেদ্য অংশ। কিন্তু আপনি কী জানেন আপনার মোবাইল ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল। অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় জানা না থাকার কারণে অনেকে ফোন কেনায় সময় আনঅফিসিয়াল ফোন কিনে ফেলে। কাজেই আজকে আমরা অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় সম্পর্কে জানবো।


অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়
অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়


অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য


যে মোবাইল ফোন গুলো আমাদের দেশের সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদান করে আইনগত উপায়ে বাজারে প্রবেশ করে সেগুলো অফিসিয়াল ফোন। অন্যদিকে যে ফোনগুলো সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদান না করে বাজারে প্রবেশ করে সেগুলো আনঅফিসিয়াল ফোন।

সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদান করে বাজারে প্রবেশ করার কারণে অফিসিয়াল ফোনের দাম বেশি হয়ে থাকে। অন্যদিকে আনঅফিসিয়াল ফোন চোরাই ভাবে বাজারে প্রবেশ করার কারণে দাম অনেকটা কম হয়ে থাকে।

আনঅফিসিয়াল ফোনগুলো দেখতে অবিকল অফিসিয়াল ফোনের মত এবং প্রথম দিকে পুরোপুরি অফিসিয়াল ফোনের মতই কাজ করে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ব্যবহারের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।


অফিসিয়াল ফোন চেক করার উপায়


১) আপনার ফোনটি বৈধ কিনা জানতে প্রথমে আপনার ফোনের আইএমইআই বের করতে হবে। এটি আপনার ফোনের সঙ্গে থাকা বক্সের পেছনে পেয়ে যাবেন।

২) নাম্বারটি না পাওয়া গেলে আপনার মোবাইল থেকে ডায়াল করুন *#০৬#। ডায়াল করতে কোন রকম খরচ হবে না। ডায়াল করার সাথে সাথে আপনার ফোনের ১৫ সংখ্যার আইএমইআই নাম্বারটি পেয়ে যাবেন। পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য আপনার আইএমইআই নাম্বারটি লিখে রাখুন।

৩) মোবাইল ফোন কোম্পানির প্রতিটি ব্যান্ডেজ জন্য আলাদা কিছু কোড থাকে। গুগলে গিয়ে আপনার মোবাইল ফোনের কোম্পানির নাম এবং মডেলের নাম লিখে সার্চ দিলে আপনার সিক্রেট কোডটি পেয়ে যাবেন।


অফিসিয়াল ফোন চেক করার কোড


আপনার ফোনটি অফিসিয়াল কিনা চেক করতে আপনার ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD <স্পেস> ১৫ সংখ্যার আইএমইআই নাম্বারটি লিখে পাঠিয়ে দিন 16002 নম্বরে।

ফিরতে মেসেজে বিটিআরসি জানিয়ে দেবে আপনার মোবাইল ফোনটি বৈধ নাকি অবৈধ। তাই দেরি না করে এখনি চেক করে নিন আপনার ফোনটি বৈধ নাকি অবৈধ।

অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় জানার কারণে আপনার কখনো আর আনঅফিসিয়াল বা অবৈধ ফোন কেনার ঝুঁকি নেই। অন্যথায়, ভুল সিদ্ধান্তে ফলে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয় হতো এবং দরকারি জিনিশটি উল্টো আপনার চরম বিপত্তির কারণ হয়ে দাড়াতো।

Post a Comment

0 Comments